ভূমিক
সবটুকুই
মুহাম্মদ
এফ.
ডব্লিউ.
বুরলেই
অনুবাদ
সাফিয়া
বিনতে হুয়াই মুফতি আবদুল্লাহ
আল মাসুদ
MURTAD.NET
মুক্তি
আসুক যুক্তির পথ ধরে ...
একটি
মুরতাদ.নেট
প্রকাশনা
সবটুকুই
মুহাম্মদ এফ.
ডব্লিউ.
বুরলেই
অনুবাদ
সাফিয়া বিনতে হুয়াই মুফতি
আবদুল্লাহ আল মাসুদ
প্রথম
ই-বুক
প্রকাশ
১
লা জানুয়ারী,
২০২৩
একটি
মুরতাদ.নেট
প্ৰকাশনা
MURTAD.NET
মুক্তি
আসক যুক্তির পথ ধরে
মূল্যঃ
এই ই-বুকটি
বিনামূল্যে বন্টনযোগ্য
'সবটুকুই
মুহাম্মদ বইটি সম্পূর্ণভাবে
ইসলামের মুল গ্রন্থসমূহের
উপর ভিত্তি করে লেখা। ইবনে
ইসহাকের জীবনী,
আল
তাবারি,
বুখারী,
মুসলিম,
আবু
দাউদ,
এবং
ওয়াকিদি ও তাঁর ছাত্র ইবনে
সাদ প্রমুখ ব্যক্তিবর্গের
দ্বারা লিপিবদ্ধ,
আদি
ধর্মীয় ধারাবাহিক উৎসসমূহের,
একত্রিত
রূপ বলা যেতে পারে এটাকে । আরও
অনেক গুরুত্বপূর্ণ উৎস,
উল্লেখ
করা হয়েছে,
যার
মধ্যে রয়েছে,
চতুর্দশ
শতাব্দীর ইসলামিক স্কলার
ইবনে কাসিরের কোরানিক ভাষ্য
এবং তাঁর লেখা নবী মোহাম্মদের
জীবনীগ্রন্থ (সিরাহ)।
রেফারেন্সগুলো
প্রতিটি অধ্যায়ের নোটে
ব্যাপকভাবে উদ্ধৃত করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে নবী মোহাম্মদের
জীবনীগ্রন্থের সম্মিলিতভাবে
প্রায়,
বিশ
হাজার পৃষ্ঠার তথ্য-উপাত্ত,
প্রতিটি
বাক্য পুঙখানুপুঙ্খভাবে
বিশ্লেষণ করা হয়েছে এ বইটিতে।
যদি বইটি পড়ে নবী মুহাম্মদের
চরিত্রকে পাঠকদের কাছে ভয়ঙ্কর
বলে মনে হয়,
তাহলে
তার জন্য মুল গ্রন্থগুলোই
দায়ী। সন্দেহাতীতভাবেই,
মুহাম্মদ
ছিলেন,
একজন
অত্যন্ত হিংস্র প্রকৃতির
মানুষ;
প্রাচীন
বই,
পুঁথি,
সাহিত্যের
সবটা জুড়েই তাঁর সহিংসতার
ঘটনাসমূহের উল্লেখ পাওয়া
যায়। প্রকৃতপক্ষে,
এই
ধর্মীয় জীবনীগ্রন্থগুলোর
দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি জুড়ে
রয়েছে,
তাঁর
সহিংসতার ইতিহাস।
আশ্চর্যের
বিষয় হচ্ছে,
মূল
লেখকদের কেউই এতে বিব্রত বা
বিচলিত হুননি। যেহেতু তাঁরা
বিশ্বাসী মুসলিম ছিলেন এবং
ইসলামের প্রথম 'স্তম্ভ'
হচ্ছে
শপথ গ্রহণ করা যে,
“আল্লাহ
ছাড়া আর কোন ঈশ্বর নেই,
আর
মুহাম্মদ তাঁর প্রেরিত রাসূল”
তাই তাঁরা নিশ্চিত ছিলেন,
মুহাম্মদ
কোন অন্যায় করতে পারেন না।
কারণ,
তিনি
যা কিছুই করেছেন,
তাঁর
পেছনে নিশ্চয়ই,
“আল্লাহর
মহৎ কোন উদ্দেশ্য” লুকিয়ে
ছিল!
তাঁরা
সেই বিশ্বাস নিয়েই,
মোহাম্মদের
সমস্ত হিংস্রতার বর্ণনাগুলো
গৌরবের সাথে আত্মস্থ করেছেন।
ঠিক সেভাবেই তাঁরা খুন,
গণহত্যা,
লুটপাট,
দাসব্যবসা,
নির্যাতন
এবং আরো অনেক অপরাধের,
প্রচুর
প্রমাণাদি তুলে ধরেন। তাদের
উল্লেখিত ঐতিহাসিক দলিলগুলো
যদি সত্য হয়ে থাকে,
তাহলে
মুহাম্মদ আন্তর্জাতিক অপরাধ
আদালতে তালিকাভুক্ত,
মানবতাবিরোধী
প্রতিটি অপরাধই সংঘটিত করে
ফেলেছেন।
মুসলিমদের
জন্য কোরআনের নির্দেশ অনুসরণ
করা বাধ্যতামূলক। যারা
মুহাম্মদকে প্রত্যাখ্যান
করেছে,
তাদের
বিরুদ্ধে কোরআনের অনেক আয়াতে,
সহিংসতা
করার নির্দেশনা পাওয়া যায়।
মুসলমানরাও,
সবকিছুতে
মুহাম্মদের উদাহরণ অনুসরণ
বা অনুকরণ করতে বাধ্য,
- এটিই
সুন্নাত। যদিও অনেক কারণে
মুহাম্মদের সহিংসতার কথা
কোরআনে রয়েছে,
কিন্তু
এর মধ্যে রয়েছে,
সেসব
মানুষের প্রতি তাঁর নৃশংসতার
নির্দয় বর্ণনাও আছে,
যারা
তাঁকে এবং তাঁর ধর্মকে মেনে
নিতে অস্বীকার করেছে। স্পষ্টভাবে
এবং সহজভাবে,
মুহাম্মদকে
নিয়ে কেউ কিছু বললে,
মুসলমানরা
হিংস্র হয়ে যায়,
কারণ
মুহাম্মাদ নিজে হিংস্র ছিলেন।
চৌদ্দশ বছর আগে তিনি যা সৃষ্টি
করেছিলেন,
যে
হিংস্রতা তিনি শুরু করেছেন,
তা
ততদিন অব্যাহত থাকবে যতদিন
আমরা তা অব্যাহত থাকতে দেবো।
মুহাম্মদের
সহিংসতার প্রতি টান ছিল
অস্বাভাবিক এবং তা ব্যাখ্যা
করার প্রয়োজন। এটা আসলে
নিরূপণ করা কঠিন কিছুও নয়।
তিনি আক্রান্ত ছিলেন মৃগীরোগে,
যা
টেম্পোরাল লোব (মানব
মস্তিষ্কের একটা বিশেষ জায়গা)
থেকে
উ্থিত। এই রোগের সাথে প্যাথলজিক্যাল
এবং সাইকোলজিক্যাল বিষয়
যুক্ত হয়ে তাঁকে একপ্রকার
এশ্বরিক যোগাযোগের অনুভূতি
প্রদান করতো। যার ফলে তিনি
বিশ্বাস করতেন যে,
তিনি
যা-ই
করেন না কেন,
ঈশ্বরের
সরাসরি নির্দেশ পেয়েই তিনি
তা করছেন। তিনি তাঁর প্রভুর
প্রতি আনুগত্যশীল ছিলেন।
তিনি
যে মৃগীরোগে আক্রান্ত ছিলেন,
তাঁর
প্রমাণ মূল জীবনীগ্রন্থে
পাওয়া যায়। যেমন:
মাটিতে
হঠাৎ পড়ে যেতেন,
তাঁর
সামনে আলোর মতো কিছু দেখতে
পেতেন এবং তিনি যেদিকেই তাকাতেন,
সেটাকে
দেখতে পেতেন,
মুখ
দিয়ে ফেনা বের হতো,
খিঁচুনি
উঠত ইত্যাদি। এইগুলো সবই আসলে
মৃগী রোগেরই লক্ষণ। এমনকি সে
সময়েও,
তাঁর
আশপাশের মানুষরা মনে করতেন
যে,
তাঁর
উপর শয়তান ভর করেছে -
যেটা
আসলে প্রাচীন মৃগীরোগের ধারণা,
(তারা
যেহেতু সেই আমলে এই রোগের নাম
জানত না)।
মুহাম্মদের স্নায়ুবিক জটিল
অভিজ্ঞতা,
তাঁকে
বিশ্বাস করতে বাধ্য করত যে,
ঈশ্বর
তাঁর সাথে কথা বলেছেন। তিনি
মানসিকভাবে মোটেই স্বাভাবিক
ছিলেন না। আর এটা হয়েছিল তাঁর
শৈশব তথা জীবনের শুরুর দিকে
ঘটে যাওয়া,
নানান
দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার ফল হিসেবে,
যা
তিনি বেছে নেননি;
বরং
তাঁর উপর আরোপিত হয়ে গিয়েছিল।
তাঁর
শৈশবের শুরুর দিকটা,
এ
বইয়ে উম্মোচন করা হয়েছে।
এটা সহজেই বোধগম্য যে,
তিনি
মানসিক সমস্যা ও স্নায়বিক
বৈকল্যের শিকার ছিলেন,
আর
পরবর্তীতে নিজেই একজন নিপীড়ক
হয়ে ওঠেন। যদিও তাঁর মনস্তাত্ত্বিক
জটিলতার সুনির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক
পরিভাষা আছে;
তবে
'মানসিকভাবে
বিকারগ্রস্ত',
এই
অভিধায় সবটা ব্যাখ্যা করা
যায়। তাঁর ব্যক্তিত্ব
বিপজ্জনকভাবেই,
ত্রুটিপূর্ণ
ছিল। তাঁকে নবী হিসেবে গ্রহণ
করতে অস্বীকার করায়,
যিনি
প্রতি মিনিটে একজন একজন করে,
একাধারে
প্রায়,
৯০০
জন পুরুষ এবং বালকের শিরশ্ছেদের
নির্দেশ দিয়েছিলেন,
এবং
এই হত্যাযজ্ঞ একটানা,
পনেরো
ঘন্টা ধরে চলতে থাকে। এমন
একজনকে 'মানসিক
বিকারগ্রস্ত'
বলা
ছাড়া আর কিছু বলা যায় কি?
তাদের,
(সেই
৯০০ লোকের),
হাতগুলি
পিঠের পেছনদিকে বেঁধে একটি
খাদের কিনারায় টেনেহিঁচড়ে
নিয়ে যাওয়া হয়। মুহাম্মদের
প্রথম দুই চাচাতো ভাই,
একের
পর এক মাথাগুলো কেটে ফেলছিল
এবং মুহাম্মদ বসে বসে তা
দেখছিলেন। যারা তাঁকে প্রত্যাখ্যান
করেছিল,
তাদের
জন্য তিনি ছিলেন একজন ঠাণ্ডা
মাথার খুনি,
একজন
নিষ্ঠুর এবং হৃদয়হীন মানুষ,
সংক্ষেপে
সাইকোপ্যাথ,
তথা
বিকৃত মানসিকতার মানুষ!
তাঁর
শারীরিক (মৃগীরোগ)
এবং
মানসিক বিকারগ্রস্থতা,
(সাইকোপ্যাথ)
পরস্পরের
সাথে মিশে গিয়ে,
যমজ
ভাইদের মতো অবস্থা হয়েছে,
যাদের
কখনোই আলাদা করা যায় না। তাঁর
মৃগীরোগের অভিজ্ঞতা তাঁকে
বিশ্বাস করতে বাধ্য করে যে,
ঈশ্বর
তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর
সাইকোপ্যাথিক আচরণ,
তাঁকে
প্রভাবিত করেছে,
এমন
লোকদের হত্যা করতে,
যারা
তাঁর ঐশ্বরিক ক্ষমতাকে বিশ্বাস
করতে অস্বীকার করেছে। তিনি
যে সন্ত্রাস সৃষ্টি করেছিলেন,
তা
ছিল তাঁর ধর্মের প্রতিষ্ঠার
পেছনে সাফল্যের চাবিকাঠি,
আবার
এই ধর্ম ছিল তাঁর মৃগীরোগের
বিভ্রমেরও ফসল। এ বইটিতে
পঁচিশটি নৃশংসতার উদাহরণ
আছে,
যা
ইসলামের মৌলিক আদিগ্রন্থ
থেকে নেয়া। এদের অর্ধেকটায়,
মুহাম্মদের
নৃশংসতার বিশদ বিবরণ পাওয়া
যাবে।
মুসলমানদের
উপর তাদের নবীকে 'চিত্রিত'
করার
নিষেধাজ্ঞা রয়েছে,
এবং
এটা সহজেই বোঝা যায় কেন এই
নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
তাঁর সম্পর্কে যেসব সত্য তথ্য
পাওয়া যায়,
বস্তুত
তা ভয়াবহ,
এবং
তাঁকে যদি “চিত্রিত"
করা
হয়,
তাহলে
সেটা অনেকটা প্যান্ডোরার
বাক্স খুলে দেয়ার মতোই হবে;
অসংখ্য
মস্তকবিহীন মানুষের মৃতদেহ
দিয়ে,
যে
বাক্সটা ভরপুর। যদি কারো আগে
থেকে কিছু জানা নাও থাকে,
সেই
চিত্রায়ণ ও তাঁর নিচের দেয়া
বর্ণনা পড়েও,
সঠিক
ইতিহাস অনুধাবন করা যায়।
তারপরও,
পুরো
বইটির সব অধ্যায় আর,
সেগুলোতে
দেয়া পাদটিকাসমূহ পড়া থাকলে,
বুঝতে
আরো সুবিধা হবে।
ইসলামের
আদি গ্রন্থে উল্লিখিত শব্দাবলী
সম্পর্কে কিছু পর্যবেক্ষণঃ-
-
অনেক
শব্দ,
যা
সাধারণত মুহাম্মদ সম্পর্কে
ওই বইগুলোতে আছে,
তা
বাদ দেয়া হয়েছে এ বইটায়,
উদাহরণস্বরূপ
– 'নাজিল'
শব্দটি।
এ শব্দটি দিয়ে বোঝানো হয় -
আল্লাহ
মুহাম্মদের কাছে কোরআন আয়াত
'নাজিল'
করেছেন,
অর্থাৎ
আল্লাহ তাঁর কাছে আয়াত ‘প্রেরণ
করতেন'।
এই শব্দের দ্বারা প্রমাণিত
হয় যে,
সেই
বইয়ের লেখক বিশ্বাস করেন
আল্লাহ মুহাম্মদের কাছে আয়াত
পাঠাতেন,
মুহাম্মদ
ঐশ্বরিকভাবে অনুপ্রাণিত
হয়েছিলেন। এটা অবশ্যই বোগাস!
সত্যিই
যদি কোন ঈশ্বর কোরআনের মতো
গ্রন্থ মুহাম্মদের মতো একজন
দুর্ধর্ষ খুনির কাছে পৌঁছে
দিতে সক্ষম হতেন,
তাহলে
তাঁর সকল সৃষ্টিরা বিদ্রোহে
জেগে উঠত। তাই আমি মুহাম্মদকে
কোরআনের 'রচয়িতা'
বলাটাকেই
বেশি উপযুক্ত মনে করি। তিনি
আয়াত ‘রচনা'
করেছেন,
সুতরাং
তিনিই এর 'রচয়িতা'।
কোরআন ছিল তাঁর হাতের কাজ,
তাঁর
নিজেরই রচনা।
আরও
কিছু শব্দ আছে যা বাদ দেয়া
হয়েছে,
তার
মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ
দুটো শব্দ হচ্ছে 'ইসলাম'
এবং
'মুসলিম'।
ভুমিকা,
উদ্ধৃতি,
মূল
বই এবং অধ্যায়সমূহের নোটে
বইয়ের শিরোনাম ছাড়াও,
অন্য
সব জায়গায়,
এই
শব্দগুলিকে সতর্কতার সাথে
এড়িয়ে চলা হয়েছে। কারণ এই
শব্দগুলো একটা মিথ্যা ধারণা
দেয়। ইসলাম মানে আল্লাহর
কাছে আত্মসমর্পণ করা। যেটি
মিথ্যা তা হলো,
মুসলিমরা
কখনো ঈশ্বরের উপাসনা করে না।
আপাতদৃষ্টিতে সেটা বোঝা যায়
না। তারা উপাসনা করে ঈশ্বর
নামের ধারণাটির,
আর
সেই ধারণাটি মুহাম্মদেরই
সৃষ্টি ছাড়া কিছুই নয়।
আর
মুহাম্মদ কে ছিলেন?
একজন
মৃগীরোগী,
একজন
মানসিক বিকারগ্রস্ত,
একজন
মানুষ যিনি ঠাণ্ডা মাথায়,
নয়শত
পুরুষ এবং ছেলেকে হত্যা করেছেন।
তিনি মানবতাবিরোধী অপরাধী
বলে গণ্য। তাঁর আনীত ঈশ্বরের
ধারণাটা ছিল মূলত মুহাম্মদ
নিজেই,
যার
সকল কর্মকাণ্ড ছিল তারই
প্রতিফলন। তিনি হিংস্র এবং
অসহিষ্ণু ছিলেন;
তাঁর
আল্লাহও ছিলেন হিংস্র এবং
অসহিষ্ণু। তাঁর ভেতরে ঘৃণার
একটা গলিত লাভার কুন্ডলী
জ্বলছিল;
তাঁর
আল্লাহ তা'আলা,
তা
দিয়ে অগ্ন্যুৎপাত করাতেন।
তিনি নিজেকে মহাজাগতিক পর্দায়
প্রদর্শন করতেন এবং প্রতিবিম্বর
ছবিটিকে ঈশ্বর বলে ঘোষণা
দিয়েছিলেন।
'মুসলিম'
শব্দটির
সাথেও একই সমস্যার উদ্ভব হয়।
অর্থাৎ মুসলিম সেই ব্যক্তি
যিনি ঈশ্বরের ইচ্ছার প্রতি
আত্মসমর্পণ করে। এই দৃশ্য
সর্বত্র দেখা যায় যে,
মানুষ
মাথানত করছে এবং মাটিতে মাথা
ঠুকছে। তারা মনে করে যেন তারা
ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছে,
কিন্তু
তারা প্রতারিত হচ্ছে। তারা
যেই আল্লাহর প্রার্থনা করে
তা একজন মৃগীরোগী,
একজন
গণহত্যাকারী দ্বারা প্রণীত
একটি ‘ঈশ্বর ধারণার'
প্রবর্তক
মাত্র।
এ
বইটিতে এই ধরনের শব্দগুলো
লেখক যথেষ্ট সতর্কতার সাথে
এড়িয়ে গিয়েছেন,
তাতে
এসবের ব্যবহার যতই অজ্ঞাতসারে
হোক না কেন,
কারণ
এই শব্দগুলো ব্যবহার করা মানে
তাদের মিথ্যা ধারণাগুলোকেই
সমর্থন করা। যদিও মুহাম্মদ
এবং মুহাম্মদতন্ত্র (Muhammadanism)
পুরাতন
শব্দ হয়ে গেছে এবং কেউ ব্যবহার
করে না। কিন্তু এগুলোই আসলে
সঠিক শব্দ,
যেমন
যীশু যা সৃষ্টি করেছেন তাঁর
সাথে সম্পর্কিত খ্রিস্টান
ও খ্রিস্টধর্ম বলা,
অথবা
বুদ্ধ যা অনুপ্রাণিত করেছিলেন
তাঁর জন্য বৌদ্ধ ও বৌদ্ধ ধর্ম
ইত্যাদি। পরিশেষে,
এ
বইটিতে 'মুহাম্মদ
যা সৃষ্টি করেছে'
তার
সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য উৎস এবং
ঘটনার ক্রম তুলে ধরা হয়েছে।
‘সবটুকুই
মুহাম্মদ'
- এ
বইটি মূলত একটি অভিযোগপত্র,
বিশেষ
করে মুহাম্মদ যে মানবতাবিরোধী
অপরাধসমূহ সংঘটিত করেছেন তার
বিরুদ্ধে একটি অভিযোগপত্র
এবং এই অভিযোগুলোর সবই ইসলামের
আদি উৎস দ্বারা সমর্থিত। এ
বই ইতিহাসের সকল ডটগুলোকে
একত্রিত করবে। এটা দেখায়
কেন মুহাম্মদ যা সৃষ্টি করেছেন
তাঁর অনুসারীরাও তাই করে।
কেন আপনি এই বইটা পড়বেন?
রক্ত,
আপনার
অথবা পরবর্তী বংশধরের ঝরতে
পারে,
এই
কারণে। সারা পৃথিবী জুড়ে
যারা তাদের প্রভুকে অনুসরণ
করে,
যারা
তা করে না,
তাদেরকে
ওরা হত্যা করতেই থাকবে।
সিরিয়া
এবং ইরাকে খৃষ্টান,
ইয়াজিদি
ও অন্যদের হত্যা শুরুর আগের
সময়ের কিছু গবেষণায় দেখা
গেছে,
প্রতি
তিরিশ মিনিটে পৃথিবীর কোথাও
না কোথাও একজন মানুষ হত্যাকাণ্ডের
শিকার হচ্ছে। যারা হত্যা করছে
তারা মগজধোলাইয়ের ফলে বিশ্বাস
করে যে,
আল্লাহ
মুহাম্মদকে নির্দেশ দিয়েছেন
সেসব মানুষকে হত্যা করতে,
যারা
ইসলামের প্রথম স্তম্ভ “ঈশ্বর
একজনই এবং মুহাম্মদ হচ্ছেন
তাঁর বার্তাবাহক” এটি উচ্চারণ
করতে অস্বীকার করে।
মধ্যপ্রাচ্যের
চিত্র পর্যালোচনা করলে বোঝা
যায়,
সেখানকার
হত্যালীলা দিনকে দিন বেড়েই
চলেছে,
এবং
আগের চেয়েও এটি দিনকে দিন
বাড়তেই থাকবে। ওরা আপনাকে
এবং আপনি যা কিছু বিশ্বাস করেন
তাঁর সবকিছুকেই হুমকি দেবে,
যতক্ষণ
না আপনি এ ব্যাপারে পদক্ষেপ
গ্রহণ করবেন।
এ
বইটি আপনার জন্য দিকনির্দেশনামূলক।
বইটি লেখার উদ্দেশ্য এই নয়
যে,
পাঠক
মাথা নাড়িয়ে “কী ভয়ানক,
কী
জঘন্য!”
বলবে,
আর
তারপর পাশ কেটে চলে যাবে। বরং
এটি আপনাকে প্রতিকারের উপায়
বলে দেবে। এটি আপনাকে কিছু
করার জন্য সাহায্য করবে। হয়তো
মুহাম্মদ যা সৃষ্টি করেছেন
তা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব
হবে। এটা খুবই অন্যায় যে,
যা
কিছু অন্যায্য তাকেই ন্যায্য
বলে দাবি করে তাকেই গর্বের
সাথে স্মরণ করা। (মুহাম্মদের)
এই
ধর্মটি সহিংসতার দ্বারা
ছড়িয়েছে,
কারণ
এটি ছাড়া তার সফল হওয়ার আর
কোন উপায় ছিল না;
এবং
এটি সহিংসতার মাধ্যমেই চলতে
থাকে,
কারণ
এছাড়া একে টিকিয়ে রাখার আর
কোনও উপায় নেই। তবে হ্যাঁ,
আপনাকে
সহিংসতা সহ্য করতে হবে না।
আপনাকে এর শিকারও হতে হবে না
(যদি
আপনি সঠিক পদক্ষেপ নেন)।
মুহাম্মদ
ইতিহাসের আলোকপ্রাপ্ত হয়ে
জন্মগ্রহণ করেননি,
যেমনটা
মুসলিমরা দাবি করে। তিনি
পৌরাণিক কুয়াশার মধ্যে
জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর জীবনের
অধ্যায়গুলি মিথ্যার কুয়াশায়
ঢাকা। আপনি যদি এই কুয়াশাকে
উড়িয়ে দিতে পারেন তাহলে
আপনি যুক্তি ও জ্ঞানের আলোক
উন্মোচন করতে পারবেন,
আর
তাঁর সৃষ্টি করা ধর্মেরও বিনাশ
হবে। বইয়ের শেষাংশে এর পদ্ধতি
নিয়ে আলোচনা আছে। মুহাম্মদের
আসল চরিত্র সেখানে উন্মোচন
করা হবে। এ বইটি ইতিহাসের
সবচেয়ে ধ্বংসাত্মক চরিত্র
ও একজন অশুভ ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে
এমন সত্য উন্মেচন করবে এবং
এমন একটা পন্থা বাতলে দেবে
যা স্পষ্ট করবে,
তিনি
কি সৃষ্টি করেছিলেন এবং তাঁর
ব্যাপারে আমাদের কি পদক্ষেপ
করা উচিত।